ধানক্ষেতে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে ‘হত্যা’: গ্রেপ্তার তিন আসামি

অপরাধ

খুলনা, ২৬ মার্চ, ২০২৪ (বস): খুলনার দাকোপ এলাকায় গৃহপালিত গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ক্ষেতের ফসল নষ্ট করায় ধানক্ষেতের আইলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে দুইজনকে ‘হত্যার’ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আলোচিত এই বউ-শাশুড়ি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অংশুমানসহ ৩ আসামিকে বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এমজে সোহেল। তিনি জানান, অংশুমান মন্ডল (৬০) তিন বছর আগে থেকে খুলনার দাকোপের খুটাখালী হরিণটানা গ্রামে বাড়ি করে বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। প্রতিবেশী অশোক গাইনের (৪২) গৃহপালিত গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি মাঝেমধ্যে অংশুমানের ধানক্ষেতে গিয়ে ফসল নষ্ট করত। তা নিয়ে ভিকটিম ও আসামিদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এরই জেরে অংশুমান অন্য আসামিদের যোগসাজশে রাতের আঁধারে তার ধানক্ষেতের আইলে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে রাখেন।

১৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় অংশুমানের ফসলি জমির আইলে অশোকের বৃদ্ধ মা চপলা গাইন (৬৫) শাক তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় চিৎকার শুনে অশোকের স্ত্রী টুম্পা গাইন (৪০) এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাদের শোর চিৎকারে অশোক গাইন এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক চপলা ও টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অশোকের বড় ভাই সঞ্জীব গাইন (৪৫) বাদী হয়ে দাকোপ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

এমজে সোহেল বলেন, “হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল র‌্যাব-৯ এর সহযোগিতায় বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অংশুমান মন্ডল (৬০), শাওন মন্ডল (২৫), পীযুষ কান্তি হালদারকে (৫৮) গ্রেপ্তার করে।”

তিনি জানান, র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *