নোয়াখালীর সদর হাসপাতাল সড়কের আদর নামে একটি হাসপাতালে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কে হাসপাতালে থাকা রোগীরা আত্মরক্ষায় বের হয়ে যান।
দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- আদর ফার্মেসির কর্মচারী দুলাল (২৬), দিনমজুর আশিক (২৮) ও রাফেল (৩২)। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। তবে টাংক থেকে গ্যাস সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় এবং ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ১০তলা বিশিষ্ট ওই ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে সাতজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন সামান্য আহত হয়।
আদর হসপিটাল ফার্মেসির প্রেপাইটর আব্দুল কাদের বলেন, রাত ৯টার দিকে ভবনের নিচে বেজমেন্টে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যায় দিনমজুর আশিক ও রাফেল। তখন আমি ফার্মেসিতে ছিলাম না। পরিষ্কার করার সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে আকস্মিক বিকট শব্দে পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। এতে সেপটিক ট্যাংকের উপর থাকা ফার্মেসি দোকান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। ওই সময় দোকানে থাকা কর্মচারী দুলাল, দিনমজুর আশিক ও রাফেল দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, বহুতল ভবনের বেজমেন্টে থাকা সেপটিক ট্যাংক হঠাৎ করে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আদর ফার্মেসি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।