নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার সাভারে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে চাঁদার টাকা আদায়ের সময় হাতেনাতে রাতুল ইসলাম রামিম নামে (২৬) নামে এক ছাএলীগ কর্মীকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জীবন রহমান (২৮) নামে অভিযুক্ত অপর এক ছাএলীগ নেতা পলাতক রয়েছে। তারা দুজনেই জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার মামলার আসামী ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার থানা রোড এলাকা তাকে আটক করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া।
গ্রেফতার হওয়া রাতুল ইসলাম রামিম (২৬) সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং সাভার সিটি সেন্টার শপিং কমপ্লেক্সের দর্জিবাড়ি নামের একটি ফ্যশন হাউজের ম্যানেজার পদে কর্মরত। আর অপর অভিযুক্ত জীবন রহমান (২৮) সাভারের উত্তরপাড়া এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।মামলার বাদী ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম দিলসাদ হোসেন (৩৩) তিনি সাভারের দেওগাঁ এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ্য করেন, দিলসাদ হোসেনের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ইমনকে (২৫) গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে অভিযুক্ত রাতুল ইসলাম রামিম ফোন করে দেখা করতে চায়।পরে তারা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজ্জাক বাজারের সামনে দেখা করলে অভিযুক্ত রামিম জানায় দিলসাদ এবং তার শ্যালক ইমনকে ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজিয়ে অপর অভিযুক্ত জীবনের সহযোগিতায় গত জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতা গণহত্যার মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে। যদি আমরা তাদের ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দেই তাহলে আমাদের দুজনের নাম মামলার এজাহার থেকে কেটে দেওয়া হবে। ইতোপূর্বেও তারা এক পাবলিক রাইটারের সহযোগিতায় একাধিক মামলায় বিভিন্ন জনকে আসামি করেছে ও অনেকের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দিয়েছে।এদিকে, মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে অভিযুক্ত রাতুল ইসলাম রামিম ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ভুক্তভোগী যুবক জাহাঙ্গীর আলম ইমনকে বলেন, মামলা দ্রুত হয়ে যাবে। আমি তোমাদের কাছে যেই এমাউন্ট চেয়েছি সেটা দিলে রাইটারের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। আমি তখন তোমাদের দুজনের নাম কেটে দিব। জীবন রহমান আজকে আমাকে ডেকেছে তুমি তোমার বড় ভাইয়ের সাথে দ্রুত কথা বলো। তা না হলে জীবন তোমাদের নাম মামলার এজাহারে দিয়ে দিবে।