বিজিবি সদস্যের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয় : ডিজি

জাতীয়

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বস ডেস্ক): গত ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দিনের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার সকালে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষদিন বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বিজিবি সদস্য মো. রইশুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় সেদিন কী হয়েছিল জানতে চাইলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ডিজি নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে সেদিন কী ঘটেছিল। আমি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাই না, বিষয়টি অফিসিয়ালি বিজিবিকে অবগত করা হয়েছে।
পরে এ বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক ডিজি বলেন, প্রথমত এটি টার্গেট কিলিং নয়। উভয় দিকের এটা নিয়ে দ্বিধা ছিল। সেদিন অন্ধকার ও ঘনকুয়াশা ছিল। বিএসএফ বিষয়টি অফিসিয়ালি আমাদের জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দুই পক্ষেরই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে পোশাকধারী ও সাধারণ নাগরিকদের কারও যেন প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। কোনো প্রাণ যাক, আমরা কেউই চাই না। প্রাণ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।

বিজিবি ডিজি বলেন, আমরা সীমান্তে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চেষ্টা করছি। আমরা সীমান্তে কোনো হতাহত হোক চাই না।

ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

সীমান্তে মৃত্যু বন্ধ, চোরাকারবার, মানবপাচারসহ নানা অপরাধ কমিয়ে আনাসহ এবারের সীমান্ত সম্মেলনে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয় এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে যৌথভাবে কাজ করতে পুনর্ব্যক্ত করেন।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন।

সীমান্তবর্তী খাল হয়ে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ায় ভেসে আসা শিল্পবর্জ্য মিশ্রিত পানির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের ওপর জোর দেন। উভয় পক্ষ যৌথ জরিপ পরিচালনা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ৫,০০০ হেক্টর চাষযোগ্য ফসলি জমির সেচ সুবিধা ও সীমান্তবর্তী জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে মানবিক দিক বিবেচনায় অবিলম্বে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে বন্ধ থাকা রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় খুলে দেওয়ার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণের আশ্বাস দেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *