কোদালের আঘাতে ছেলের হাতে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন

অপরাধ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় স্ত্রীকে মারপিট করতে নিষেধ করায় বৃদ্ধ বাবা কবিজ উদ্দিনকে (৭০) কোদালের আঘাতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়; হত্যার পর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রশিদ সরকার এ তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত বৃদ্ধ কবিজ উদ্দিন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কইল দক্ষিণপাড়ার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে। বয়স ৭০ হলেও তিনি শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম ছিলেন। তার ছেলে জুয়েল হোসেন ঢাকায় রিকশা চালান। স্ত্রী ও সন্তান গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। জুয়েল হোসেন মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে দুপচাঁচিয়ার কইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবাকে দেখতে যান। জুয়েল কয়েক দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে যান। দুদিন আগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।

জুয়েল হোসেন বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাম্পত্য কোনো বিষয় নিয়ে স্ত্রীকে মারপিট করছিলেন। এ সময় বৃদ্ধ বাবা কবিজ উদ্দিন স্ত্রীকে মারপিট করতে নিষেধ করেন। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা কোদাল দিয়ে আঘাত করলে বাবা কবিজ উদ্দিনের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে মারা যান। এতেও রাগ না কমায় তিনি কোদালের আঘাতে বিচ্ছিন্ন মাথা থেঁতলে দেন। পরিবারের সদস্যরা জুয়েলকে আটক করে দুপচাঁচিয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে জুয়েলকে গ্রেফতার করে।

দুপচাঁচিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রশিদ সরকার জানান, নিহত বৃদ্ধ কবিজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে জুয়েল হোসেন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আলামত হিসেবে কোদাল জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের ভাতিজা জামাল উদ্দিন থানায় জুয়েলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। একমাত্র আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *