গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো চিফ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহে মিথ্যা মামলা ও নির্দোষ ব্যাক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ অক্টোবর দুপুর ২ টা ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা। এ সময় ফিসারী ম্যানেজার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন জানান, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সুবলিয়া পাড়া বিগত ২৪/০২/২০২৩ইং রোজ শুক্রবার অনুমানিক সকাল ১০/ ১১ টায় ঘটনানাটি ঘটে। আমাদের মালিক শফিউল আলম এর ফিসার প্রজেক্ট ও তাজুল ইসলাম এর ফিসারি মাঝ দিয়ে পানি নিষ্কাসনের জন্য গ্রামবাসীর সুবির্ধাদে একটি ড্রেন তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক দড়ি টানিয়া দেওয়া হয় এবং দড়ি ঠিক রাখার জন্য মাঝখানে খুঁটি গেড়ে দেয় ফয়েজ উদ্দিন। তার দেওয়া খুটি বেকে যাওয়ায় তা ঠিক করে দেওয়া হয় এ নিয়ে ফয়েজ উদ্দিন গালাগালি করে এবং উওেজিত হয়ে যায়। বেশী উত্তেজিত ফয়েজ উদ্দিন এ সময় স্ট্রোক করে, আমরা তাকে মাথায় পানি দেই এবং ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে যায় তার দুই ছেলে।এসময় গ্রামের ২০/৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে হাসপাতালে প্রেরণ করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ওই দিন সময় আনুমানিক বিকাল ৪:০০ থেকে রাত ৯:০০ ঘটিকা পর্যন্ত মোঃ শফিউল আলম খান সহ আরও ১৫ ও ২০ জন মিলে এর ফিসারী প্রজেক্ট ব্যাপক লুটপাট করে। পুকুরে পাড় রেখে মাছ, গরু সহ সবকিছু নিয়ে যায়। আমাকে আটকে রাখে এবং রাতে পুলিশ গিয়ে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং আমি পরে জামিনে ছাড়া পাই। এ সময় মৃত ফয়েজ উদ্দিন পোস্ট মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী তার মৃত্যু ছিলো স্বাভাবিক। তাই আমরা আমাদের ফিসারী প্রজেক্ট এর ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করি।
আমি ফিসারী ম্যানেজার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় মামলা করেন। মোকদ্দমা নং- ১১/২০২৩ দ্রুত বিচার আদালত ১৩/০৩/২০২৩ বাদির অভিযোগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ- ১,২৩,০৯,০৫৯/- টাকা, ঘটনাস্থল বাদির প্রজেক্ট। স্মারক নং- পিবিআই- ময়মনসিংহ জেলা-১৮৭৯, পিবিআই প্রতিবেদন দাখিলকারী মোঃ নজরুল ইসলাম, বিপি- ৭৯৯৮১০৪২৩৯, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি:), ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ- ১,০৬,৭৫,১৫০/- টাকা পিবিআই প্রতিবেদন উল্লেখ করেন এবং পৃঃনং ৫এ মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর মৃত্যুর বিষয় বর্ণনা করেন। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য পরবর্তীতে মৃত ফয়েজ উদ্দিন মেম্বার ২৪/০২/২০২৪ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন, মেম্বার এর ছোট ছেলে, বাদী মোঃ ফরিদ মিয়া- ২৭/০৩/২০২৩ইং তারিখ ৬নং আমলী আদালতে মামলা করেন, নং- ১৮২/২০২৩, ধারা- ৩০২/১০৯/৩৪ দঃ।আমাদের বাড়ি অনেক দূরবর্তী (চাঁদপুর) হওয়ায় বাদি মোঃ ফরিদ মিয়া, সিআর ১১/২০২৩ আইন শৃঙ্খলা বিগ্নকারী ধারা ৪/৫, পিবিআই প্রতিবেদনে প্রমাণিত আসামীদের রক্ষার উদ্দেশ্য এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ফয়েজ উদ্দিন মেম্বার মারা যাওয়ার প্রায় দেড় মাস পর মামলা দায়ের করেন। বাদী মোঃ ফরিদ মিয়ার মামলার স্বাক্ষী: ১নং স্বাক্ষী: মৃত ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে মোঃ ফরহাদ, ২নং স্বাক্ষী: জামাল উদ্দিন, পিবিআই ২০নং আসামী মোঃ ফারুক-৩২ পিবিআই ২১নং আসামী মোঃ মোজাম্মেল-৩৭, উভয়ের পিতা জামাল উদ্দিন।৩নং স্বাক্ষী: আবুল কাশেম, পিবিআই ১১নং আসামী মোঃ আবু সাইদ-৪৮ পিবিআই ১২নং আসামী মোঃ বাবু মিয়া-২২, আবুল কাশেম, আবু সাইদের আপন চাচা এবং বাবু মিয়ার দাদার আপন ছোট ভাই। বাকি সাক্ষীগণও তাদের নিকটস্থ বা আত্নীয়। ফরিদ মিয়া ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে মামলায় রায় তার পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে থানার চার্জশিট নারাজ দিয়ে পিবিআই মামলা প্রেরণ করেন। এখন শুনেছি, এছাড়াও মৃত্যুবরণকারী ফয়েজ উদ্দিন পোস্ট মেডিক্যাল রিপোর্ট আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে তাদের পক্ষে রিপোর্ট তৈরি করেছেন।এমনকি স্থানীয় দুই জন আসামি সাইদুল ও লিটন মিয়া সততার পক্ষ নেওয়ায় তাদেরকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিটন মিয়া বলেন, আমাকে মৃত ফয়েজ উদ্দিন মামলার মিথ্যা সাক্ষী হতে বলেছিলো আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে আসামি বানিয়ে দিলো। এ বিষয়ে ফিসারী ম্যানেজার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, আমি এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি চাই, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই এবং নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়নারি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন মিয়া, সাইদুল রহমান, উজ্জ্বল খান পলক, রইছ উদ্দিন ( মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর বড়ো ভাই) সহ প্রমুখ।