নবনিযুক্ত ৫৯ জন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মধ্যে ৮ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোখলেস উর রহমান বলেন, নতুন নিয়োগ দেওয়া ডিসির মধ্যে ৫১ জন আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন। বাকিরা যেখানে ছিলেন, সেখানেই দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া চারজন জেলা প্রশাসককে রদবদল করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্য কর্মকর্তা পাওয়া অনেক কঠিন।
যেসব ডিসিদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে তারা হলো- লক্ষ্মীপুরে সুফিয়া আক্তার রুমী, জয়পুরহাটে মো. সাইদুজ্জামান, কুষ্টিয়ায় ফারহানা ইসলাম, রাজশাহীতে মাহবুবুর রহমান, শরীয়তপুরে আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার, রাজবাড়ীতে মনোয়ারা বেগম এবং দিনাজপুরে মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম।
এছাড়া ৪ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের ডিসিকে পঞ্চগড়ে, নীলফামারীর ডিসিকে টাঙ্গাইলে, নাটোরের ডিসিকে লক্ষ্মীপুরে এবং পঞ্চগড়ের ডিসিকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি সপ্তাহে দুই দফায় দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলেন উপ-সচিব পর্যায়ের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা। তারা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির অভিযোগ তোলেন।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল, যে ৫৯ জনকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সময়ে ভালো পদে ছিলেন। তারা এ সরকারের সময়েও ডিসি হলেন। অথচ যারা বঞ্চিত ছিলেন, সব যোগ্যতা থাকার পরও বিরোধী মতের কারণে যাদের গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।
এদিকে একই দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।