সাপ আসবে, সাপ আসবে আতংকে কাটছে রাত

সারা বাংলা

চয়ন বিশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
সাপ আসবে, সাপ আসবে আতংকে রাত কাটে। ছেলে-মেয়েসহ না ঘুমিয়ে রাত কাটাচ্ছি। এভাবেই মনের অভিব্যক্ত প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী তাছলিমা বেগম। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত বৃহম্পতিবার (২২ আগষ্ট) সন্ধ্যার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ২৬টি গ্রামের বাসিন্দা পানি বন্দি হয়ে পড়েন।
তাছলিমা বেগম আরো বলেন, এমন বন্যার পানি আগে কখনো দেখি নাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘরে পানি ডুকতে শুরু করে। বৃহস্হতিবার থেকে ছোট ছোট ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে রাত জেগে বসে থাকি। মাটির চুলা ডুবে গেছে, সিলিন্ডার গ্যাস ও শেষ। তাই দুই দিন ধরে ঘরে রান্না হচ্ছে না। শুকনো খাবার খেয়েই আছি।
তাছলিমা বেগমের ঝা রেহেনা বেগম জানান, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগি। তার মাটির ঘরে পনি ডুকে ঘর লন্ডবন্ড হয়ে গেছে। তিনি হতাশ হয়ে বলেন, তার সব শেষ। তিনিসহ তার সাত জনের পরিবারের সদস্যরা পাশে দেবরের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। রাতে সাপ আতংকে আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনা। খুব আতংকে রাত কাটচ্ছে। ঘরের জিনিসপত্রের মায়ায় কোন আশ্রয় কেন্দ্রে যায় নি।
কসবার ইউএনও মো. শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, কসবায় বন্যার পানির কমতে শুরু করেছে। আশা করি খুব দ্রুতই এই বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হবে। কসবায় ২৩৫০ পরিবারের ১৫ হাজার সদস্য এখনো পানি বন্দি রয়েছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *