রাজশাহীর মোহনপুর থানা ও মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ দুপুর ১২ টার দিকে এঘটনা ঘটে। এসময় মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টহল গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এছাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। আন্দোলনকারীরা মোহনপুর বাজারে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া রুকসু ভবনেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিল।
এর আগে, সকাল থেকেই শহরের হারোকান্দি এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ফরিদপুর বরিশাল মহাসড়ক ধরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এর দিকে আসে। সেখান থেকে শহরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমে বাধা দিলেও পরে সরে যায় পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ করে মিছিলটি শহরে প্রবেশ করে।
মুজিব সড়ক হয়ে হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কে প্রবেশ করলে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা সরে গেলে জেলা আওয়ামীলীগের অফিসে হামলা করা হয়। ভাংচুড় করা হয় কার্যালয়ে , পরে কার্যালয়ের বাহিরে রাখা বেশ কয়েকটি মটরসাইকেলে আগুন দেয় তারা।
সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা সরকারী রাজেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের দখলে থাকা রুকসু ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুড় করে। পরে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ।
সেখানে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান ব্যবহার করে। পরে আন্দোলন কারীরা পিছু হটে সরকারী সারদা সুন্দরী কলেজ রোড ধরে পুনরায় পুরতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফিরে যায়। শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা।
চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে খুলনায় আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। আজ (রোববার) বেলা বারোটার দিকে খুলনার শঙ্খ মার্কেটের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা সরকারের পতন ও জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। বর্তমানে ওই মোড়ে বহু শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন।
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে একদল শিক্ষার্থী শিববাড়ি থেকে মিছিল সহকারে খুলনার আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে রওনা হওয়ার পর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পঞ্চগড়ে একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে উত্তাল পুরো শহর। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৪ আগস) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চৌড়ঙ্গী মোড়ে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় একদফা দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একাংশ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে অগ্নিসংযোগ করে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কোথাও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ রয়েছে শহরের দোকানপাটও।