মোঃ কবির হাওলাদার,
স্টাফ রিপোর্টার :
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় পল্লি বিদ্যুৎ এর গ্রাহকের সাথে চলছে প্রতারণা। ভুতুড়ে বিলের কবলে অতিষ্ট কয়েক লাক্ষ গ্রাহক। মিটার রিডিং না দেখেই চলছে বিলিং কার্যক্রম এতে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গত জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিলের কাগজ গ্রাহক পর্যায়ে হাতে পায়নি অনেকে, অথচ প্রতি মাসে মুঠোফোনে এসএমএস আসে বিলের টাকার। এতে কিছু গ্রাহক বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিষোধ করলেও অনেক গ্রাহকই বিল দিচ্ছেন না। প্রতি মাসে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে আসছে বিল। মিটার রিডিং এর সাথে বিলের কোন মিল নেই, কিছুদিন আগে মিটার রিডিং এর জন্য লোক আসলেও বর্তমানে ৪/৫ মাস যাবৎ মিটার রিডিং নেওয়ার জন্য কোন লোক মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয় অভিযোগ আছে হাজার গ্রাহকের । তাদের দাবী অনিয়ন্ত্রিত বিলের টাকা তারা দিবেন না।
তিন চার মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশ গ্রাহকের। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেয়া হয়েছে। বার বার বললেও মিলছে না প্রতিকার, বরং বাড়ছেই বিল। নএ বিষয় কথা হয় উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামের আল-আমিন এর সাথে তিনি বলেন। আমি দীর্ঘদিন যাবত দেশে থাকি না, আমার বাড়িতে একটি মিটার আছে কিন্তু কোন বিদ্যুৎ আমি খরচ করি না অথচ প্রতি মাসে এসএমএস আসে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আমি নিয়মিতভাবে পিছনের বিলগুলো পরিষোধ করে আসছি গতমাস এবং এই মাসের বিল আমি দেইনি। একই গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন মোল্লা বলেন আমি একটি বাতি ও একটি ফ্যান ব্যবহার করে মাসে বিল আসে ৪০০-৫০০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে আমি বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিব। একই গ্রামের বাসিন্দা আবুবক্কর মোল্লা বলেন মাসে বিদ্যুৎ থাকে ১০ দিন অথচ বিল আসে ৩৫০-৪৫০ টাকা। চার পাঁচ মাস যাবৎ মিটার রিডিং নেওয়ার জন্য কোন লোক আসে না।বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম বলেন, মিটার রিডিং ছাড়া আগষ্ট মাসে আমার বিল আসছে ১৫৬ টাকা সেপ্টেম্বর মাসে তা ১২৭৬ টাকা। ৪ নং ওয়ার্ডের জিসান মিয়া বলেন আমার মিটারের সাথে বিলের রিডিং এর ডিফারেন্স ১৯২ ইউনিট বেশি। মিটার রিডিং ছাড়া অফিসে বসে মনগড়া বিল বানিয়ে এসএমএস দিয়ে বিল পরিষোধ করতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিভিন্ন রকম প্রতিবাদের ঝড়। এভাবে হাজার হাজার গ্রাহকের সাথে চলছে প্রতারণা। প্রতিবাদ করার কেউ নেই। এ দিকে প্রতি মাসে বিলের কাগজ না দিয়ে ৩ থেকে ৪ মাস পরে কাগজ দিয়ে লাইন কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা। টাকা না দিলে লাইন কেটে নানা কৌশলে আদায় করা হয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লি বিদ্যুৎ ব্যবহারে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে হাজারো গ্রাহোককে। এ বিষয় পল্লী বিদ্যুৎ এজিএম তৌফিক ওমর মুঠোফোন বলেন এগুলো তিনি কিছুই যানেন না বলে এরিয়ে যান। এবং বলেন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।