বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার ২ হাজার ৩৫০ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর আসামি পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে অনেকের ব্যক্তিগত আইনজীবী না থাকায় লিগ্যাল এইড জামিনে সহযোগিতা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে শাহবাগ থানার ২৩ জন, রমনা মডেল থানার ১১ জন, বিমানবন্দর থানার ১৭ জন, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার ৩৪ জন, লালবাগ ও চকবাজার থানার ১০২ জুন, ক্যান্টনমেন্ট থানার ১৫ জন, সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানার ৮৬ জন, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার ৯৯ জন, কাফরুল থানার ৭১ জন, শেরেবাংলা ২৩ জন, মিরপুর থানার ১৭৯ জন, কোতোয়ালি ও বংশাল থানার ৭২ জন, ধানমন্ডি থানার ৬৫ জন, খিলগাঁও ও মুগদা থানার ৪০ জন, শাহআলী থানার একজন, সবুজবাগ ও রামপুরা থানায় ১১৫ জন, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল থানার ১২১ জন, বাড্ডা ও ভাটারা থানার ১৯৪ জন, কদমতলী ও শ্যামপুর থানার ৮৬ জন, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম ও তুরাগ থানার ১৯০ জন, বনানী ও গুলশান থানার ১২০ জন, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানার ২৫৩ জন, পল্লবী ও রূপনগর থানার ২১৯ জন এবং পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানার ২১৪ জন রয়েছে।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব ও সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, যুবদলের সাবেক নেতা এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব রয়েছেন।