ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জুলাইয়ের শেষের দিকে তেহরানে সংঘটিত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার প্রতিশোধ ইরান নেবে সে বিষয়ে ইসরায়েলের কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।’
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ফর কোঅর্ডিনেশন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি আবদুল্লাহি বুধবার উত্তর-পশ্চিম ইরানের শহর কুমেলেহে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, “জায়নবাদী শাসকদের স্বপ্ন দেখা উচিত নয় যে ইরান এই নৃশংসতার জবাব দেবে না,কারণ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইতিমধ্যে তার মাটি ও জলসীমায় শত্রুদের লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার জন্য সমস্ত ক্ষমতা মোতায়েন করার ইচ্ছা প্রমাণ করেছে। আবদুল্লাহি বলেছেন, ‘প্রতিক্রিয়ার সময় নেতা এবং দেশের সিনিয়র কমান্ডাররা নির্ধারণ করবেন।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রয়াত প্রধান হানিয়াহ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার একদিন পরে ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে এক দেহরক্ষীর সাথে নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।
তিনি বলেন, “দেশের নিরাপত্তা, শক্তি এবং অগ্রগতি হচ্ছে তার শহীদ ও যোদ্ধাদের যুদ্ধের সময় আত্মত্যাগের ফলাফল।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ওয়াশিংটনের পূর্বে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র-অধিকৃত ঘাঁটির বিরুদ্ধে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথাও আবদুল্লাহি গণনা করেছিলেন।