২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭৩১টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে জেলার ১৫ থানা এলাকায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ২৭৮টি। নগরের ১৬টি থানা এলাকায় ৪৫৩টি।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে ৬২৪টি অস্ত্র জমা দিয়েছে লাইসেন্সধারীরা। এর মধ্যে জেলার ১৫ থানায় জমা পড়েছে ২৪০টি অস্ত্র। এসব থানায় জমা পড়েনি ৩৮টি অস্ত্র। নগরের ১৬ থানায় জমা পড়েছে ৩৮৪টি। অস্ত্র জমা পড়েনি ৬৯টি অস্ত্র। জেলা ও নগর মিলিয়ে ১০৭টি বৈধ অস্ত্র জমা দেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরের ১৬ থানায় ইস্যু করা ৪৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের ৩৩৭টির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকায়। এই থানা এলাকায় ৭৩ জনকে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। পাঁচলাইশে ৬৭টি, খুলশি ৪৮টি, ডবলমুরিং ৩৪টি, হালিশহর ২২টি, চান্দগাঁও ৩২, সদরঘাট ১০টি, ইপিজেড ৬টি, পাহাড়তলী ১২টি, চকবাজার ৯টি, বায়েজিদ ৬টি, বাকলিয়া ৫, পতেঙ্গা ৩টি, আকবর শাহ ৩টি, কর্ণফুলী ৪টি এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৫টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ৩৩৭টি অস্ত্রের মধ্যে শটগান ১৩২টি, পিস্তল ৮২টি, বন্দুক ৬৪টি, দুনলা বন্দুক ৯টি, রিভলভার ২৬টি এবং রাইফেল ২৪টি।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, অস্ত্র জমা হয়েছে থানায়। আর যারা অথোরাইজড ডিলারের কাছে আগেই আগ্নেয়াস্ত্র জমা রেখেছেন তারা থানায় শুধু জমার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার জেলা ও নগরে মোট কত অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে, সেটার তালিকা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।