‘ইয়াবা গডফাদার’ খ্যাত কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আ. লীগ নেতা আবদুর রহমান বদিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামিমুন তামজিনের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বদিকে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে এর শুনানি পরে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ের একটি আবাসিক এলাকা থেকে বদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজারে। দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে র্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা পাহারায় বদিকে আদালত প্রাঙ্গনে আনা হয়।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ (৫৩) আবদুর রহমান বদিসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তথ্যমতে, আবদুর রহমান বদি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদির পরিবর্তে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি দুই দফায়ই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদক চোরাচালানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবদুর রহমান বদির নাম রয়েছে। তালিকায় ‘মাদকের গডফাদার’ হিসেবে বদির চার ভাইসহ পরিবারের অন্তত ২৬ জনের নাম রয়েছে।