ইকরামুল হক সাজিদের জানাজায় অংশ নিয়ে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

জাতীয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণ করে বলেছেন,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণ করে বলেছেন, আমরা শহিদ সাজিদের চেতনা ধারণ করি, তাই তাদের প্রতিশ্রুত আগামী বাংলাদেশ হবে সাজিদদের বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বাঐজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই এলাকার সন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইকরামুল হক সাজিদের জানাজায় অংশ নিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ এসব কথা বলেন।

সবার প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সাজিদরা জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন। যে কারণে তারা শহিদ হয়েছেন তাদের সেই প্রতিশ্রুত নতুন বাংলাদেশ যাতে আমরা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করি।

সাজিদের রক্তের শপথ করে নাহিদ বলেন, তাদের প্রতিশ্রুত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ আমরা আগলে রাখব। আন্দোলনে আহত অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করায় শহিদের তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের জন্য দোয়া করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, পরাজিত স্বৈরাচারী আওয়ামী শক্তির দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তা প্রতিহত করবে বলেও নাহিদ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, সাজিদের মা-বাবা বীরের মা-বাবা, আমাদের সবার বাবা-মায়ে পরিণত হয়েছেন তারা। তাদের দায়িত্ব সরকারের, আমাদের নিতে হবে। যারা হত্যা হয়েছে, যাদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে ইতোমধ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সেই অপরাধীদের বিচার করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় স্বজনরা জানান, ইকরামুল হক সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ অধ্যয়নরত ছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে মিরপুর এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী উপজেলার বিলকুকরি গ্রামের জিয়াউল হকের একমাত্র ছেলে তিনি। একমাত্র মেয়ে (সাজিদের বোন) বিয়ে হয়েছে। বাবা-মায়ের আদরের সাজিদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন। গত ৪ আগস্ট মিরপুর ১০নং গোল চত্বর এলাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১০ দিন পর বুধবার দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি, সেনা সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সহপাঠী, মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ অসংখ্য মানুষ সাজিদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন বাবা জিয়াউল হক। জানাজা শেষে বেলা ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

সবার প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সাজিদরা জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন। যে কারণে তারা শহিদ হয়েছেন তাদের সেই প্রতিশ্রুত নতুন বাংলাদেশ যাতে আমরা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করি।

সাজিদের রক্তের শপথ করে নাহিদ বলেন, তাদের প্রতিশ্রুত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ আমরা আগলে রাখব। আন্দোলনে আহত অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করায় শহিদের তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের জন্য দোয়া করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, পরাজিত স্বৈরাচারী আওয়ামী শক্তির দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তা প্রতিহত করবে বলেও নাহিদ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, সাজিদের মা-বাবা বীরের মা-বাবা, আমাদের সবার বাবা-মায়ে পরিণত হয়েছেন তারা। তাদের দায়িত্ব সরকারের, আমাদের নিতে হবে। যারা হত্যা হয়েছে, যাদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে ইতোমধ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সেই অপরাধীদের বিচার করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় স্বজনরা জানান, ইকরামুল হক সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ অধ্যয়নরত ছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে মিরপুর এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী উপজেলার বিলকুকরি গ্রামের জিয়াউল হকের একমাত্র ছেলে তিনি। একমাত্র মেয়ে (সাজিদের বোন) বিয়ে হয়েছে। বাবা-মায়ের আদরের সাজিদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন। গত ৪ আগস্ট মিরপুর ১০নং গোল চত্বর এলাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১০ দিন পর বুধবার দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি, সেনা সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সহপাঠী, মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ অসংখ্য মানুষ সাজিদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন বাবা জিয়াউল হক। জানাজা শেষে বেলা ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *