মো. আলমগীর ইসলাম
বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে গাজীপুরের শ্রীপুর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তুলা বীজ বর্ধন খামার প্রকল্পের ১০ জন কর্মচারীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে টালবাহানা করছেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা কর্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে’র মাধ্যমে তুলা উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমটি ২০১০ সালে শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। শর্ত ছিল কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবেই তাদের চাকুরী রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেটি করা হয়নি। অতঃপর ভুক্তভোগীরা চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন (রিট পিটিশন নম্বর ৮১৯৬/২০১৬) অতঃপর উচ্চ আদালত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য রায় দেন।পরবর্তীতে ‘তুলা উন্নয়ন বোর্ড’ ওই রায় বাতিল চেয়ে আপিল করেন, এরপর আপিল বিভাগ পূর্বের রায় বহাল রাখেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোকে ১৪ দিনের মধ্যে রায় বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে চাকুরী রাজস্ব খাতে ফিরে পেতে আইনি লড়াই করেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার গোরবমন্ডল গ্রামের মৃত জিয়ার উদ্দিনের সন্তান মো: জহুরুল হক, দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসুদ রানা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কানিজ তানিয়া, রংপুর সদর উপজেলার আফসানা খানম, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার বিলকিস, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার হায়দার হোসেন ও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার স্বপন মিয়া।
ভুক্তভোগীরা আইনি লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পরও চাকুরী না পেয়ে নিঃস্ব প্রায়। তারা সকলেই জানিয়েছেন, উচ্চ আদালত এবং আপিল বিভাগ রাজস্ব খাতে চাকুরী দিতে রায় দেন ২০১৯ সালে। এরপর ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক। আমরা দ্রুত এসব টালবাহানার সমাধান চাই। রাজস্ব খাতে আমরা আইনিভাবে চাকুরী পাই, তবুও নানারকম জটিলতা দেখিয়ে চাকুরী দেয়া হচ্ছে না। আমাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। আমাদের চাকুরী ফেরত চাই।রায় প্রদানের পর ৫ বছরে পেরিয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করেননি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, ওই রায় বাস্তবায়ন করা হবে, তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রয়োজন। ওই মতামত পত্র পেলে শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।