ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে আসামীপক্ষের বিরুদ্ধে হুমকি অভিযোগ, বাদীর সংবাদ সম্মেলন

অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ৬ বছর বয়সী ছোট মেয়ে সাভারের রাজাশন এলাকার বর্ণমালা আদর্শ স্কুলে নার্সারিতে পড়ে। গত ৮ জুলাই সকালে আমার মেয়ে স্কুলে যায় পরে ছুটির পর আমি স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে তাকে খুজে না পেলে তার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারি অভিযুক্ত ইব্রাহিম স্যার আমার মেয়েকে একটি রুমে নিয়ে গেছে। পরে আমার মেয়ের সহপাঠীদের নিয়ে তাকে খুজতে থাকি একপর্যায়ে স্কুলের বাইরের একটি হোটেলে গিয়ে দেখতে পাই অভিযুক্ত ইব্রাহিম নাস্তা করতেছে আর আমার মেয়ে তার পাশে দাড়িয়ে কান্না করছে পরে আমি ইব্রাহিম স্যারকে এ ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে নানান উল্টাপাল্টা কথা শুনায়। পরে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফিরে দেখতে পাই আমার মেয়ের গাল,গলা ও বুকে কামড়ের দাগ পরে আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় ইব্রাহিম স্যার তাকে একটি রুমে আটকে রেখে জোরপূর্বক মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং ধর্ষণ শেষে বাথরুমে নিয়ে তার শরীর ধুঁয়ে দিয়েছে। পরে আমি আমার মেয়েকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত প্রমাণ পেলে ১১ জুলাই আমি সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু এরপর থেকে আসামীর স্বজন এবং বর্ণমালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে এবং আমার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে নানান ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি গত ৫ অক্টোবর সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। জিটি নং ৩৭০। এ ব্যাপারে জানতে বর্ণমালা আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন কে ফোন দিলে তিনি বলেন,আমরা কাউকে কোন ধরনের হুমকি ধামকি দিইনি। তাছাড়া আমি অনেকদিন যাবত ছুটিতে আছি। তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ অপরাধী হয় তার বিচার হোক। তবে তারা যেদিনের ঘটনার কথা বলছে ঐদিন আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল এবং বন্ধের নোটিশও দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আমি যতটুকু জানি ঘটনাটি সত্য নয়। তিনি বলেন, এটা অভিযোগকারীনি শরিফা খাতুনের একটি ব্যবসা।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুয়েল রানা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আসামীদের বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছি এবং আসামীপক্ষের কোন ব্যক্তি যদি বাদীপক্ষকে কোন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা হুমকি প্রদান করে তাহলে বাদীপক্ষ আমাদের অবগত করলে আমরা আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *