কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদক কারবারির অত্যাচার, মারধরসহ মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক পরিবার। বুধবার সন্ধা সাড়ে ৫টায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মাদক কারবারির হামলায় আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী রুবি আক্তার, বারেরা গ্রামের ইয়াকুব মিয়া ও হাসি বেগম প্রমুখ।
মাদক কারবারির হামলায় আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী রুবি আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টা আমি আমার ঘরে ছিলাম৷ এসময় বারেরা গ্রামের সাবেক কমিশনার মৃত আব্দুল আউয়ালের ছোট ছেলে মহিউদ্দিন আমাদের ঘরের দরজায় এসে ডাকাডাকি করলে আমি দরজা খোলে দেই।
এসময় তিনি আমার স্বামীকে (সালাউদ্দিন) কল দিতে বলে। আমি কল দিয়েছি। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। কিছুক্ষণ পর আমি পাশের রুমে যাই। ওই রুম থেকে আসার সময় দেখি মহিউদ্দিন আমার টার্চ মোবাইলটা নিয়ে যাচ্ছে। আমি এটা দেখে মহিউদ্দিনকে অনেক ডাকাডাকি করেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেনি। এসময় আমাদের বাড়ির কয়েকজন মুরুব্বি এসে বলেছে এটা দিনের বেলা সমাধান করে দিবে।
মোবাইল ছিনতাইয়ের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা এ নিয়ে একটি সালিশি বৈঠক হয়। ওই সালিশে থাকা বারেরা গ্রামের ইয়াকুব বলেন, সালাউদ্দিনের ঘর থেকে মোবাইল নিয়েছেন বলে বৈঠকে শিকার করেছেন মহিউদ্দিন। মোবাইলটির দাম নাকি ১৭ হাজার টাকা। ১৫ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে দিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ওই সময় মহিউদ্দিনের সাথে তর্ক বাঁধে সালাউদ্দিনের। এক পর্যায়ে কথা হয় হয় মাদক নিয়ে। এ সময় সালাউদ্দিন মহিউদ্দিনকে বলে তরা মাদকের ডিলার। এটা বলায় মহিউদ্দিন সালিশে সালাউদ্দিনকে থাপ্পড় দেয়। থাপ্পড়ে সালাউদ্দিন জ্ঞান হাড়িতে মাটিতে লোটিয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে বারেরা গ্রামের অন্তত ১৫ জন নারী-পুরুষ বলেন, এই মহিউদ্দিন ও তার ভাই রাসেলের অত্যাচার ও মারধরে অতিষ্ঠ তার বাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসী। কয়েকদিন পরপর কাউকে না কাউকে মারধর করে তারা। তাদের তাদের বিচার করতে সালিশধারা ভয় পায়। এবং মহিউদ্দিন এ বারেরা গ্রামে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন করে আসছেন। সে এ এলাকায় যুব সমাজকে নষ্ট করে দিতেছে। মহিউদ্দিন সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।
ভুক্তভোগী সালাউদ্দিনের স্ত্রী রুবি আরো বলেন, সালিশে আমার স্বামীকে মারধরের পর বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। এবং মোবাইল ছিনতাই ও আমার স্বামীকে মারধরের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাই।