মো. আলমগীর ইসলাম( গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসা হুজুরের স্ত্রী-কে একা পেয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আফির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার পহেলা অক্টোবর সকালে শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদের চালা গ্রামের ২ নং সি এন্ড বি বাজারের পশ্চিমে দেলোয়ারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী দেলোয়ারের স্ত্রী’র দাবি, ওই বাড়ি ক্রয় করে মিফতাহুল জান্নাত নামে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা শুরু করেন তারা। পরবর্তীতে আফির উদ্দিনের অত্যাচারে মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তারা। ওই বাড়ি ক্রয় করে নিজেরা বসবাসসহ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন দেলোয়ার ও আয়েশা দম্পতি।অতঃপর আজ সকালে শ্রীপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফির উদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রশাসন ছাড়াই নিজের নেতৃত্বে মারধর করে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন তিনি। এ ঘটনায় মামুন খান নামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আয়েশা সিদ্দিকা।
তিনি আরও বলেন, যদি তিনি এই বাড়িটির মালিক প্রকৃতপক্ষে হয়ে থাকেন, তাহলে প্রশাসনের মাধ্যমে আমাকে বাড়ি ছাড়ার জন্য বলতো, আমরা চলে যেতাম। কিন্তু জোরপূর্বক আমাকে এভাবে বের করে দিলো, আমি আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিতে পারিনি। ৩০-৩৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে এভাবে বাড়ি থেকে বের করা দেয়ায় আমি ও আমার বাচ্চা অনেক ভয় পেয়েছি। আমরা এ ঘটনার বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত আফির উদ্দিন তালা লাগানোর সময় প্রশাসনের কেউ ছিল না বলে স্বীকার করে বলেন, আমি ক্রয়সূত্রে বাড়িটির মালিক। তাই আমি তাদেরকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। প্রশাসন ব্যতীত বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সুযোগ রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমি রাজধানীতে থাকার সুযোগে আফির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনকে সাথে নিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয় তারা। আমি সুস্পষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই অহিদুজ্জামান ভূঁইয়া ৪-৫ জনের একটি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, এ বিষয়ে তিনি বলেন, আফির উদ্দিন ওই নারীকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত এভাবে কাউকে বাড়ি থেকে বের দেয়ার এখতিয়ার কারো কারো নেই। এটা তারা নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছে। আজ উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।