দেশে অপার সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে ভিনদেশি ‘ড্রাগন ফল’। ড্রাগন ফল এখন কৃষক বা কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে একটি আশাজাগানিয়া ফল ও ফসল। বিদেশি এ রঙিন ফলটি এখন কমবেশি অনেকের কাছেই খুব জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় ফল। যদিও সব মহলে খুব বেশি একটা পরিচিত হয়ে ওঠেনি এ সুস্বাদু রসাল ফল। এরপরও ইউটিউব দেখে বানিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে অবিশ্বাস্য সফলতা পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মঞ্জুরুল ওয়াহিদ সুমন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মঞ্জুরুল ওয়াহিদ সুমন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাঁটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। সে অবসরে যাওয়ার পর থেকে একটা ব্যবসার কথা চিন্তা করে। সেই সময় তার স্ত্রীর পরামর্শে ও ইউটিউব দেখে বাসার ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ১৮ শত স্কয়ার ফিট ছাদবাগানে বর্তমানে ৬৮০টি ড্রাগনের গাছ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় প্রতিটি গাছেই বিভিন্ন রঙের ফল আসতে শুরু করেছে। অরগানিকভাবে চাষ করা এই ড্রাগন ফল খেতে বেশ সু-স্বাদু ও রসালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মঞ্জুরুল ওয়াহিদ সুমন মনের করেন যদি সব গাছে সমানে ফলন আসে তাহলে আমি যা প্রত্যাশা করেছি তার চেয়ে বেশি লভবান হবে। এদিকে তার ছাদবাগান ও ড্রাগন চাষ দেখতে স্থানীয়সহ বাহিরের অনেকেই আসছেন। তার ছাদবাগান দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন। ভবিষ্যতে তারাও এমন ছাদবাগান করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মঞ্জুরুল ওয়াহিদ সুমনের ড্রাগন ফলের ছাদবাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী মো.মন্তাজ আলী বলেন, ছাদের উপরে ড্রাগন ফলের বাগান দেখে বেশ ভালো লাগলো। যে ভাবে ড্রাগন ফলন আসছে তাতে খরচ বাদ দিলেও অনেক লাভ থাকার কথা। আমি আমার ছাদে এমন একটা বাগান করার চিন্তা করছি।
ছাদবাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী ফুলবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লুৎফুল হুদা চৌধুরী বলেন, আমরা যদি আমাদের নিজেদের ছাদ গুলোতে এমন বাগান করতে পারি তাহলে আমাদের নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবো।
ছাদবাগান মালিক সাবেক সেনা সদস্য মো. মঞ্জুরুল ওয়াহিদ সুমন বলেন, আমি বর্তমানে আলিফ এগ্রো ফার্ম নাম দিয়ে আমার ছাদবাগানে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছি। আশা করছি এই বাগান থেকে ভালে একটা লাভ হবে। আমি আগামীতে আমার নিজস্ব কৃষি জমিতে এই ড্রাগন চাষ করতে চাই।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;