ইউক্রেন তার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ‘ড্রাগন ড্রোন’ নামক নতুন একটি ড্রোন যুক্ত করেছে। এটা মূলত থার্মাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। থার্মাইট হলো অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়া ও আয়রন অক্সাইডের উত্তপ্ত মিশ্রণ, যা অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় (৪,০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পুড়তে থাকে।
ইউক্রেন রুশ বাহিনীর গোপন আশ্রয় এবং অন্যান্য কৌশলগত অবস্থান ধ্বংস করতে এই ড্রোনটি ব্যবহার করছে।
প্রতিরক্ষাশিল্প বিশ্লেষক নিকোলাস ড্রামন্ড মনে করেন, এই ড্রোনের মানসিক প্রভাব শারীরিক ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, থার্মাইটের আগুন বর্ষণকারী ড্রোনগুলো রুশ সেনাদের অবস্থানের ওপর ব্যাপক ক্ষতি করছে।
থার্মাইট প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটি ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন রূপ নিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই ড্রোন। থার্মাইট খুব সহজেই যে কোনো ধাতব পদার্থকে গলিয়ে ফেলতে সক্ষম, যা রুশ ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যান্ত্রিক উপকরণকে ধ্বংস করছে।
১৮৯০ সালে জার্মান রসায়নবিদের আবিষ্কার থার্মাইট প্রাথমিকভাবে রেলপথ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হলেও সামরিক ক্ষেত্রে এটি এক ভয়াবহ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।