রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমারকে কারাগারে প্রেরন, নকল হীরার সিন্ডিকেটের সন্ধানে গোয়েন্দারা কাজ করছে

অন্যান্য অপরাধ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নকল হীরার সিন্ডিকেটের সন্ধানে গোয়েন্দা। হীরার নামে মোজানাইট পাথর কাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলীপের সিন্ডিকেটের বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তবে এখন এগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর

আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে, নকল হীরা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দিলীপ সিন্ডিকেট। এই অর্থের বড় একটি অংশ তারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের মতো বিদেশেও গড়েছে সম্পদ। তবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ তারা তৎকালীন হাসিনা সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিত নিয়মিত। এর মাধ্যমে নিরাপদ রেখেছিল তাদের সম্পদ। গতকাল রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় দিলীপ কুমারকে। এর পর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাদেক। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আটক করে র‌্যাব। পরে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালত দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয় নামের এক কিশোর। ওই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলারই আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বাংলাদেশের একটি রহস্যময় চরিত্র দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ডায়মন্ড ব্যবসার আড়ালে কাচকে হীরা বানিয়ে বিক্রি, হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি এবং বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *