স্বাধীনতা তয় বার!

অন্যান্য

স্বাধীনতা তয় বার!
মোহাম্মদ এনামুল হক জীবন

স্বাধীনতা পেলাম প্রথম ১৯৪৭এ,
বৃটিশ বেনিয়ারা করল পরাধীন ১৭৫৭তে।
দুশ বছর নাগাদ গোলামীর জিন্জির পরিয়ে রাখলো তাতে। এভাবেই দুনিয়ার বহু দেশকেই বৃটিশ করল পরাধীন;
প্রবাদ ছড়ালো, সাড়া জাগালো,’ বৃটিশ সূর্য অস্তমিত হয়না কোন দিন।।

বৃটিশ বিনা নেই কেউ,

যুগের পর বহু যুগ,
আর শত শত বছর শুধু তাদেরই ঢেউ।।
কত দেশকেই ব্রিটেন করলো স্বাধীনতা ছাড়া।
অবশেষে কত আলেম ওলামা আরো বহু বীর জনতা যুগপথ বৃটিশদের দিল তাড়া।সাতচল্লিশে
ইঙরেজরা হলো ভারত উপমহাদেশ ছাড়া।।

অতঃপর তারা আরো বহুদেশ থেকে খেলো তাড়া।
আমরা সবাই পরখ করলাম, বৃটিশরা হলো দুনিয়া ছাড়া।।

তবে পরিতাপ মোদের স্বাধীনতা সঠিক হয়নি ১৯৪৭এ,
তাইতো লড়াই করতে হলো আবারো একাত্তরে। পাকিস্তানী হানাদাররা ২৫শে মার্চ রাতেই হঠাৎ দিল হানা, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানিদের বিপক্ষে বাঁধল কঠিন দানা।

বরল মরন নয় মাস ধরে ,নোয়ায়নীতো শীর।জীবন বিলালো লাখো লাখো রণবীর। ৭১ এর১৬ ই ডিসম্বর ভাঙলো পাকিস্তানি সেনা নীড়।

পরাজয়ের গ্লানী নিয়ে তারা রেখে গেল পূর্ববাংলা চাপাবাজ মুজিবের করতলে!
চাপা মেরে মেরে, মিথ্যা বুলি আওড়ে দেশটাকে নিল মুজিব রসাতলে?
স্লোগান উঠলো,
এক নেতার এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ;
১৫ই আগস্ট এর এক রাতে সবই শেষ!

সেনাদ্রোহের এক অভিযানে শেখ মুজিব শেষ, শেখ কামাল শেষ, শেষ হলো ৩২ নাম্বারের যত অবশেষ।

সবশেষের ফাঁকে, বিদেশে থেকে মুজিব তনয়া হাসিনা রয়ে গেল কীট হিসেবে। কথা বলেছে সে ফেরেশতার মত কাজ করেছে সে শয়তানের মত।
নব মীরজাফর মইন ফখরুল, করে দিল এক তামাশার নির্বাচন ;
ছলে বলে কলে কৌশলে মজিব তনয়া হাসিনাকে দেয় ক্ষমতার মসনদ। পিতা হত্যার প্রতিশোধ আগুনে ক্ষমতা নেয় দখলে।
সচিবালয়ে আর মন্ত্রণালয়ে, বঙ্গভবনে আর গণভবনে সব খাওয়া শুরু করে স্বদল বলে।
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার, কে, কোথায়, পায় কি অধিকার?
সবই শুধু হয় হাসিনার স্বাধিকার।

মানুষ গুম,খুন,জবাই, আয়নাঘর আর কারাগার হাসিনার কাজ হয় নিত্ত দিনকার! লেখার স্বাধীনতা, কথার স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা আর বাঁচার স্বাধীনতা নেই কোথাও কার ;
চৌদিকে শুধু আকাশ বাতাস ভারী করে চলছে হাহাকার আর হাহাকার!

অতিষ্ঠ হয়ে দেয়ালে পীঠ ঠেকে ফুঁসে উঠল সবাই, আবাল বৃদ্ধ বনিতা, তরুণ ছাত্র জনতা, রুখে দিলো হাসিনার সব কসাই।
বহুদিন ধরে, বহু যুগ পেরে খুঁজেছি আমরা গণতন্ত্র, সাম্য আর মানবাধিকার।

২০২৪ শে এবার পেয়েছি স্বাধীনতা তৃতীয়বার।। সাথে পেয়েছি বিশ্বখ্যাত নোবেলজয়ী ডক্টর ইউনুসকে উপহার।

এবার আমরা আওয়াজ তুলি সমস্বরে কসাই হাসিনায় ধিক্কার।।
এ দেশে নাইরে নাই হাসিনার আর ভিক্ষার ও কোন অধিকার।।।।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *