পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পাচার করার সময় ২৪৭ কেজি হরিণের মাংস ও ১৩টি হরিণের মাথাসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকার মৃত আশ্বাব আলী সিকদারের ছেলে মো. আবুল কালাম ৫০) ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর এলাকার মজিবুল হকের ছেলে মো. হারুন মোল্লা (৫৫)।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব গয়েশকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে ট্রলারযোগে হরিণের মাংস পাচারকালে এলাকাবাসী ট্রলারটি আটক করে। এরপর এতে তল্লাশি চালিয়ে ১৩টি হরিণের মাথা ও ১৯৯ কেজি মাংস জব্দ করে। এ সময় স্থানীয়রা ট্রলারে থাকা কালাম এবং হারুণকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণের মাংস উদ্ধার করে এবং মাংস পরিবহনকারী দুইজনকে এনে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের একটি দল উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪৮ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে।
নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) এইচএম শাহিন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।