বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর প্রোটেকশন অফ অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসপিয়ারেন্সে (আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশন)। আন্তর্জাতিক কনভেনশনে প্রবেশের নথি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে শনিবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনের চুক্তিপত্রের অনুলিপিটি জাতিসংঘের চুক্তি বিভাগের প্রধান ডেভিড কে নানোপোলোসের কাছে হস্তান্তর করেন। যিনি মহাসচিবের পক্ষে অনুলিপিটি গ্রহণ করেন।
হস্তান্তরের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের জনগণের জন্য সব মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে প্রমাণিত হয় যে, দায়িত্ব গ্রহণের ২০ দিনের মধ্যে, সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার চুক্তিতে যোগ দেওয়ার জন্য সব অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
ডেভিড ন্যানোপোলোস এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং বহুপাক্ষিক চুক্তি কাঠামোর প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
তিনি জানান, জাতিসংঘ অবিলম্বে জোরপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। নথিটি একটি বিশেষ দিনে জমা করা হয়েছে, ৩০ আগস্ট যা বিশ্বব্যাপী পালিত হয় নিখোঁজ হওয়ার শিকারদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে, তাদের পরিবারের জন্য আমাদের আজকের এই পদক্ষেপ অগণিত ভুক্তভোগীদের প্রতি আমাদের সংহতি প্রকাশ করে। রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘের কাছে নথি হস্তান্তর করেন। কনভেনশনের বিধান অনুসারে, এটি ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হবে।