নওগাঁর মহাদেবপুরে শিউলি বেগমকে (৩৫) গলা টিপে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার স্বজনরা গলায় ক্ষত চিহ্ন ও হাত ভাঙা দেখে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর থেকেই স্বামী হুমায়নসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত শিউলি বেগম দেওয়ানপুর গ্রামের হুমায়নের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার কাটাবাড়ি হাড়পুর গ্রামের মফিজ উদ্দীনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে স্বামী হুমায়নসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের নাহিদ ও মেহেদী নামের ১৬ ও ১৮ বছরের দুই সন্তানও রয়েছে। এর আগেও হুমায়ন আরও তিনটি বিয়ে করেছে। কোনো স্ত্রীই কয়েক মাসের বেশি তার সংসার করতে পারেননি। বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই হুমায়ন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন বলেও জানান তারা।
এরই জেরে শুক্রবার দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিউলি বেগমকে বেদম মারপিট করে তার একটি হাত ভেঙে দেন হুমায়ন। পরে তাকে গলা টিপে হত্যার পর রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝোলানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হলে হার্ট অ্যার্টাকে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালান হুমায়ন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দেওয়ানপুর গ্রামের মঞ্জুরুল মিস্ত্রির ছেলে হুমায়নসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।