‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘ভারত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শহীদ আবরার আওয়াজ তুলেছিল। তাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাতে জীবন দিতে হয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ভোটচুর আওয়ামী লীগ দিল্লিকে প্রভু বানিয়েছিল। এখন সরকার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার সরকার। দিল্লি আপনার আধিপত্য-আগ্রাসন ভুলে যান। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত তার আগ্রাসনের কারণে প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আধিপত্য চললে বাংলাদেশের জনগণও আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে। বন্ধুত্ব হবে ন্যায্যতা, সমতায়, প্রভুত্বের ভিত্তিতে নয়। শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার আগেই ভারতের সঙ্গে হওয়া অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। বন্দী বিনিময় চুক্তির কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।’
বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার জন্য ভারত দায়ী উল্লেখ করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সুলতানা বলেন, ‘এটা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটা ভারতের কৃত্রিমভাবে তৈরি করা বন্যা। বাঁধ খুলে তারা আজ উল্লাস করছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই, ছাত্র জনতা ছেড়ে দেবে না। সরকারকে বলতে চাই, আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্য হিস্যা আমাদের পেতে হবে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এবি জুবায়ের বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী বন্যা প্লাবিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি সংযোগ নদী রয়েছে, এর ৩০টিতে তারা বাঁধ দিয়েছে। আন্তজার্তিক নদীতে তারা বাঁধ দিয়েছে। আধিপত্যবাদী ভারতের গ্রীষ্ম মৌসুমে বাঁধ বন্ধ করে রাখায় আমরা পানি পাই না, কৃষক ফসল ফলাতে পারে না। আর বর্ষা মৌসুমে বাঁধের কারণে পানিতে ডুবে মরতে হয়। আমরা এ দ্বিমুখী নীতি চাই না।
সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ স্লোগান দেন।