সোমবার (১৯ আগস্ট) তেল আবিবে ব্লিংকেন জানান, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন এই প্রস্তাব হামাস মেনে নিক।
ব্লিংকেন বলেছেন, ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের উপর নির্ভর করছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।
ব্লিংকেন বলেন, এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতি করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন কাতার যাবেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরো বাড়ার আশংকাও করছেন অনেকে।
এই সপ্তাহের শেষদিকে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এই নিয়ে নয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিংকেন। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ব্লিংকেনের বৈঠক সদর্থক হয়েছে। এই সময় কেউ যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে এই প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।