কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে সোমবার রাতে ৫ জন এবং মঙ্গলবার সকালে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক বিক্ষুব্ধ জনতা শাহ আলম খানের বাসভবনে ভাঙচুর চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ ভাঙচুর করতে করতে ভবনের তৃতীয় তলায় উঠে যায়। একই সময়ে বিক্ষুব্ধদের অপর একটি অংশ নিচতলায় আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আগুনের শিখা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে এবং আগুনে পুড়ে ৬ জন মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়াশীষ বলেন, রাতে আমরা ভবনটিতে আগুন জ্বলতে দেখেছি। শুনেছি আগুনে পুড়ে ৬/৭ জন মারা যায়। তাদের বাসা অশোকতলা এলাকাতেই। রাতে আশপাশের বাসা থেকে স্বজন হারানোর কান্নাও শুনেছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার সাইদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীনেশ কুমার বলেন, কোথায় কি হয়েছে কোনো কিছুই বলতে পারবো না। নিজেরাই আতঙ্কে আছি।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বী জানান, সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আহত হয়ে ৭৫ জন চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এর মধ্যে ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সময়ে তিতাস থানার এক পুলিশ সদস্যের মরদেহও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।