গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ২টি পুলিশ বক্স ও ৩টি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে মাওনা চৌরাস্তার আশপাশে এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে মাওনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী এবং পুলিশ প্রথমদিকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারা পিছু হটে। পরে আরো বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ারসেল এবং রাবার বুলেট ছুড়এ। এরপর আন্দোলনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচির পর থেকেই কয়েক ঘণ্টা ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া গাজীপুর শিমুলতলী এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা অবস্থান নেয় এবং তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহবুব মোর্শেদ জানান, মাওনা পল্লি বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, দেশব্যাপী শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত নয় দফা দাবি আদায়ে তারা বিক্ষোভ করছেন। আন্দোলন চলাকালে বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের উপরে নিক্ষেপ করে।
এদিকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে চন্দ্রা ত্রিমোর এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এতে ওই মহাসড়কের ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।