উত্তরাতে, স্বামী, স্ত্রী, মিলে ব্যস্ততম এলাকায় গড়ে তোলেছে স্পা সেন্টারের নামে দেহ ব্যবসার । শুধু দেহ ব্যবসা নয় তাদের এই আস্তানায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মদ ও জুয়ার রমরমা আসর। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাঈদ গ্র্যান্ড সেন্টারের ৭ তলায় আলোচিত দম্পতি পাখি ও সাইদুল মিলে গড়ে তোলেছে এ আস্তানা। আগে এই দম্পতি বনানী এলাকাতেও নিষিদ্ধ এ কারবারের আস্তানা গেড়েছিল। বর্তমানে উত্তরার ব্যস্ততম এই এলাকাতে অনেকটা অবাধেই এই কারবার চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রতিবেদনে আরো জানা যায়,, ওসি ফরমান আলী ,, কে ,,স্পা সেন্টার থেকে দুই লক্ষ টাকা মাসোয়ারা দেয় ওরা বলে আমরা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা চালাই ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাখি ও সাইদুল তারা স্বামী স্ত্রী। দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আড়ালে এই কারবার চালিয়ে আসছে। স্পা সেন্টারের আড়ালে তারা মূলত নিষিদ্ধ দেহ ব্যবসার চালায় । এছাড়াও একই স্থানে মদ জুয়ার আসরও জমায়।
জানা যায়, বিউটি পার্লারের কাজের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে ,,তরুণ তরুণীদের,, নিয়ে আনা হয়। এক পর্যায়ে ওইসকল মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভনে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরায় আবদ্ধ তার এই আস্তানা। অনেকে তার আস্তানায় গিয়ে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের শিকার হয়। সিসি ক্যামেরা ও নারীসঙ্গ নেয়া ক্লাইন্টদের গোপনে ভিডিও করে সেগুলো ফাঁস করে হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেকে লোকলজ্জা মানসম্মানের ভয়ে থানায় বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগও দেয়না। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তার এ অবৈধ ও নিষিদ্ধ কারবারে সহযোগী হিসেবে রয়েছে, হাবিবুর রহমান নিরব, লাল মিয়া, আশরাফ হোসেন ।ব্যস্ততম এলাকায় কি করে এমন অবাধে চলছে নিষিদ্ধ কারবার এটি নিয়েই প্রশ্ন তোলেছেন অনেকেই।
জানা যায়, পাখি নামের এই নারী রাজধানীর বনানীতে স্পা সেন্টার গড়ার পর স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিলে বনানী থেকে সটকে পড়ে নারী সাপ্লাই জগতের অন্যতম এই পাখি। এরপর সে উত্তরায় গড়ে তোলেছে এই কারবার। পাখি ও তার স্বামী সাঈদুল সহ তার কয়েকজন সহযোগী মিলে চালাচ্ছে এই কারবার।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি এখানে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে কি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন । পরে নানা বয়সী নারী যাতায়াতে তারা বুঝতে পারেন এখানে নারী দিয়ে স্পা সেন্টার চালাচ্ছে ।
তারা বলেন, এই ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই পুলিশসহ অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করতে হয় সেহেতু লোকজন ভয়ে আর কিছু বলেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাখি রাজধানী ঢাকার নারী সাপ্লাই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য। স্পার নামে একদিকে যেমন ওই স্থানেই দেহ ব্যবসার আস্তানা গড়ে তোলেছেন তেমনি বিভিন্ন স্থানে মনোরঞ্জনের জন্য নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন গেট হাউস, নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। অর্থ্যাৎ রাজধানীতে নারী সাপ্লাই গ্যাংয়ের যে কয়েকজন সদস্য রয়েছে তার মধ্যে সে অন্যতম। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন সে এই নিষিদ্ধ কারবারে জড়িত।
জানা যায়, সাঈদ গ্র্যান্ড সেন্টারের তার আস্তানায় স্পা সেন্টারের নামে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মদ জুয়ার ও আসর বসে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আসর। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে এই আসরে যোগ দেয়। প্রকাশ্য ব্যস্ততম এলাকায় এ ধরনের অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন এলাকাবাসী।