সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে সারাদিনে মাত্র ২৯ ভোট পড়েছে। কেন্দ্র দুটি হলো আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-১ ও ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-২। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৬।
এই দুই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারেরা জানান, ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-১ এ মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২০৪৫ এর বিপরীতে ভোট পরেছে মাত্র ১৫ টি। আর ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-২ এ মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২০৫১ এর বিপরীতে ভোট পরেছে মাত্র ১৪ টি।
ওই দুইকেন্দ্র মিলিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী ইমতিয়াজ উদ্দিন ২৩ ভোট পান, তালা প্রতীক নিয়ে সাইদুল ইসলাম ভোট পান ৫টি ও টিউবয়েল প্রতীকের মোশাররফ খান পেয়েছে ১টি ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের প্রার্থী মোছা. মনিকা আক্তার ২১ ভোট পান, ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইয়াসমিন আক্তার সুমী ভোট পান ৪টি ও প্রজাপতি প্রতীকের নাদিয়া নুর পান ৪টি ভোট।
ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-২ এ সবশেষ ভোট প্রদানকারী ভোটার মো. সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ঢাকা মেইলকে জানান, আমি এই কেন্দ্রের একজন ভোটার। আমি একজন মুদি দোকানী সারাদিন দোকানেই ছিলাম ভেবেছিলাম দিনে ভোটারদের ভিড় হবে তাই শেষ বেলায় ভোট দিতে আসলাম। এসে শুনি আমিসহ নাকি মাত্র ৪জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। ব্যাপারটি সত্যিই আশ্চর্যজনক। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন। হয়তোবা সেই কারণে ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার তেমন আগ্রহ ছিল না লোকজনের।
ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং-২ এর প্রিজাইডিং অফিসার মো. মোশাররফ হোসেন ঢাকা মেইলকে জানান, আমাদের কেন্দ্র সারাদিনই ভোটার শূন্য ছিল। সাধারণ ভোটার কী কারণে ভোট কেন্দ্রে আসেনি তা আমার জানা নেই। আমাদের এই দুই কেন্দ্রে ২৯টি ভোট পড়েছে।
সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ ঢাকা মেইলকে বলেন, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যিনি ছিলেন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়াও ভোটারদের আগ্রহ খুবই কম। আর সেজন্যই ভোটার উপস্থিতি বলতে একেবারে শূন্য।