সাভারে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় নির্মান কাজে বাধা ও নির্যাতনের অভিযোগ।

অন্যান্য অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দোকান ও সেমিপাকা ঘর নির্মানে চাঁদা না দেওয়ায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক(৫৫)ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী এস এম মালেকুজ্জামান ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রীর বড় ভাই।বহুদিন থেকেই এই জমিতে চাঁদা দাবি করছে ভুক্তভোগীদের কাছে।

চক্রটির একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী রয়েছে, তাদেরকে নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সাইদুর রহমান রাসেল নামের আরেক ভুক্তভোগী এর প্রতিকার চেয়ে বলেন, একইভাবে একাধিক জমিতে নামে বেনামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে মালিক পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমার কাছ থেকে বারেক বাহিনী ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে।আহত খলিলুর রহমানের ভাষ্য, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পানপাড়া এলাকায় ক্রয় ও (বিআরএস) রেকর্ড সূত্রে মালিকানা জমিতে দোকান ও বসতঘর নির্মান কাজ শুরু করেন তার স্ত্রীর বড় ভাই এস এম মালেকুজ্জামান।ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতি করেছে। একই সাথে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাদের হামলায় আমাদের মিস্ত্রিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জমির মালিক এস এম মালেকুজ্জামান বলেন , চাঁদা না দিয়ে নির্মান কাজ করা যাবেনা বলে হুমকি দেন (বারেক বাহিনী)। ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে রবিবার ( ০৮সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক ও তার বাহিনী নির্মানাধীন ওই বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও আমার বোনের স্বামী খলিলুর রহমানেকে নির্যাতন করে।এ ঘটনায় পরদিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেকসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), মোঃ ফারুক হোসেন (৪০) ও মোঃ শিমুল হোসেন (২০)অভিযুক্ত বারেককে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ কেয়কটি বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে জানান, এগুলো সব মিথ্যা কথা। তাদের সাথে আমাদের আর্থিক লেনদেন রয়েছে। সাইদুর ও তার বাবা খলিলুর রহমানের কাছে একজন প্রায় এক লাখ টাকা পায়। সেই টাকা উঠিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছে। এই টাকা চাওয়া কে নিয়েই আমাদের সাথে সংঘর্ষ। জমিতে কাজে-বাধা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ জমিতে আমাদের সাথে মামলা রয়েছে। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে সবার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *