প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবির এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নাহিদ বলেন, এক দফা দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে।
এর আগে শনিবার দুপুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই। হাজারো মানুষের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান’, ‘পদত্যাগ পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ -এমন নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে ’৭১-এর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া অসংখ্য রিকশাচালককে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের জমায়েত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে পড়েনি।
এছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে জড়ো হয়ে পরে শহীদ মিনারে যান সংগীতশিল্পীরা। সেখানেই তারা সংহতি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। বিকেল ৩টার দিকে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ‘গেট আপ, স্ট্যান্ড আপ’ স্লোগানকে সামনে রেখে জড়ো হন তারা।