নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়ে, উচ্চ পর্যায়ের এই বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) সহায়তা করবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন– ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ওই বইয়ের দুটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এ ঘটনার জেরে তাঁকে চাকরিচ্যুত করে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। বইটির এই অধ্যায়ের একটি অংশে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। আসিফ মাহতাবের অভিযোগ, ‘শরীফার গল্প’ অংশের তথ্য দিয়ে শিশুদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘শরীফার গল্প’ উপস্থাপনে যদি কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তি থাকে, তাতে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে দেশে একটি গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।