মুসলিমরীতি অনুযায়ী ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লাখো মানুষকে কান্না করতে দেখা যায়। অবশ্য ইরানের সঙ্গে অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে একটু ভিন্নতা রয়েছে। তবে সেটা মৌলিক প্রার্থন নয়। ইরানিরা শিয়া মুসলিম হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশ হল সুন্নি মুসলিম।
জানা যায়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ নিহত অন্যদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) ইরানের বার্তাসংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে জানাজা শুরু হয়। লাখো ইরানি নাগরিক প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর নামাজে জানাজায় যোগ দিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজের একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে পায়ে হেঁটে রওনা হন। এ সময় তাদের হাতে ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি ছিল।
এর আগে গত রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
ওই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। মোখবার দেশের দায়িত্ব গ্রহণের ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি।