যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ফখরুল কী করে জানলেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

রাজনীতি

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম কীভাবে জানতে পেরেছেন তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রহমতে আলম ইসলামি মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন ডোনাল্ড লু। তার বক্তব্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝতে পারা যায়। সেখানে ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই।

মির্জা ফখরুল ডোনাল্ড লুর বক্তব্য শুনেছেন কি না, প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) কী করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনও আগের জায়গায়? লুর বক্তব্য কি তিনি শোনেননি?’

বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকায় দেশের সার্বি উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার ১৫ বছর আগে ও পরে বাংলাদেশে কী পার্থক্য আপনারা দেখতে পান! ওই বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের কোনো মিল নেই। আজকের ঢাকা শহর দিনরাত পার্থক্য। উন্নয়ন অর্জনে আধুনিকতায় ১৫ বছরে বদলে গেছে। সেই রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা।’তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। সবই শেখ হাসিনার অবদান।

এসব সত্য যারা অস্বীকার করে, তারা দিনেও রাতের অন্ধকার দেখে, তারা হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘৭৫-এর পর আমাদের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সবই নির্বাসনে চলে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’

‘তিনি এসেছিলেন বলে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল, পার্লামেন্টে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে। এই বয়সেও প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান, দুপুরের খাবার সন্ধ্যার পর খান। এভাবে তিনি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *