বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশালের মুলাদি থানার বিএনপি নেতা শাহে আলম স্বপন এর বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্টের পরে স্থানীয় বিভিন্ন দোকানপাট দখল জমি দখল ও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ মুলাদি পৌরসভার বিভিন্ন সাধারণ মানুষ। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান তরিকুল হাসান খান মিঠুর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেনে। উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে নির্বাচনে ভোট চাইতেও দেখা গেছে বিএনপি নেতা স্বপনকে। আওয়ামী লীগ থেকে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতেন তিনি। ৫ আগস্ট এর পরে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে মুলাদি পৌরসভায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে এই নেতা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৩১ তারিখ বিএনপি নেতার আত্মীয় পরিচয়ে সাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব, জাকির হোসেন পিল্টু মিলে ভুক্তভোগি একটি পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি প্রায় ৮ শতাংশ জমি দখল করে অবৈধভাবে বালুভারাট করেছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, অভিযুক্তরা আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করতে আসলে আমরা বাধা দেয় তখন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এবং আমাদের প্রান মাসের হুমকি দেয়। আমি মুলাদী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শাহে আলম স্বপন বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমার আত্মীয়, সেজন্য তার সাথে নির্বাচনে সময় দিয়েছিলাম কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে আমি কোন সুবিধা বিগত দিনে নেইনি। এবং ৫ তারিখের পরেও কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না।
এ বিষয়ে মুলাদীর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি বাহিরে আছি পরে কল দিয়েন জেনে জানাবো।