ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৪ (বস) : প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও সম্প্রতি কয়েক হাজার কর্মি মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের জমাকৃত টাকা সুদসহ ফেরত দেয়ার পাশাপাশি জরিমানা দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
এছাড়া, এঘটনায় কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি তিন মাস পর পর দাখিল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও সম্প্রতি কয়েক হাজার কর্মি মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার ঘটনায় রিটটি আনা হয়।
আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস।
ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও সম্প্রতি প্লেনের টিকিট না পাওয়ায় কয়েক হাজার কর্মি মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। মালয়েশিয়ায় কর্মি না যাওয়ার ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ একটি প্রতিবেদন গতকাল আদালতে দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মিদের কাছ থেকে গ্রহণকৃত সমুদয় অর্থ ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত প্রদান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কর্মি প্রেরণে ব্যর্থতা ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর আইনানুগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে কর্মি প্রেরণের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলে নির্ধারিত সময়সীমার সাথে সংগতি রেখে চাহিদাপত্র ও ভিসা ইস্যুর তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।