ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বাজারের সামনে সংঘর্ষের সময় বাদল মিয়া হত্যার ঘটনায় তার পিতা জাবির হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে এ মামলাটি দায়ের করেন। মৃত বাদল মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বজেন্দ্রগঞ্জ (লৌলারচর, চর হবিবপুর) গ্রামের জাবির মিয়ার ছেলে। জাবির মিয়া পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারের পাশে বসবসা করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন।
মামলায় ৩৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী সাগর মিয়া অভিযোগ করেন, মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল হয় ও মিছিলে আশিক মিয়া অংশগ্রহন করে। ২৭ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বাজারের সামনে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছোরা গুলি বাদল বুকে লাগে। পরে স্হানিয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় হাসপাতাল থেকে কোন স্লিপ দেওয়া হয়নি ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতের লাশ দাফন করা হয়। ওই সময় স্বৈরাচার সরকারের দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি।