বিচারকদের সুর বদল, যখনই জামিন আবেদন তখনই শুনানি

জাতীয়

ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা সুর বদল করে ফেলেছেন। যেখানে কয়েকদিন আগে নাশকতার মামলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারী ছাত্র ও সাধারণ মানুষের রিমান্ড আবেদন ও জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের বক্তব্য শুনলেও সে অনুযায়ী কোন আদেশই হয়নি। বরং অধিকাংশ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সেই বিচারকরাই সকল আসামিদের এবং আইনজীবীদের বলছেন যখনই জামিন আবেদন আনবেন তখনই শুনানি গ্রহণ করব। বিচারক নেমে গেলে প্রয়োজনে আবেদন শুনানির জন্য আবার এজলাসে বসবেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে জেলা জজ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেন, ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জজ ও তাদের অধিনস্থ বিচারক এবং বিশেষ জজ আদালতের বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিএনপি পন্থী আইনজীবী নেতারা এবং সাধারণ আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও কোন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন না।

সভায় বিএনপি পন্থী আইনজীবী নেতাদের মধ্যে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক ফারুকী, মোসলে উদ্দিন জসিম, খোরশেদ মিয়া আলম, জামায়াতে ইসলামী পন্থী আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

আইনজীবীরা রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের জামিনের বিষয়ে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের কথা বিচারককে অবহিত করে তাদের জামিন আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার গ্রহণের করার আবেদন করেন। আর যেসকল মামলায় আসামিরা জামিনে আছে সে সকল মামলায় সাক্ষী তলব না করে শুনানির তারিখ লম্বা সময়ের জন্য দিতে বলেন। আইনজীবীদের দাবির বিষয়ে বিচারকরা বলেন, আপনারা যখনই জামিন আবেদন আনবেন তখনই শুনানি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে বিচারক এজলাস থেকে আবার উঠে শুনানি গ্রহণ করবেন।

সাধারণ আইনজীবীরা সভায় আওয়ামী সরকারের হয়ে বিচারকদের দলীয় আচরণে প্রকাশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রের আইনজীবী হয়ে ন্যায় বিচার করার আহ্বান জানান এবং বর্তমান অবস্থা থেকে বিচারকদের শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সাধারণ আইনজীবীদের দাবি, বিচারকরা যদি সরকারের না হয়ে রাষ্ট্রের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে দেশ আজ এ অবস্থায় যেত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *