ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ২টা বেজে ১৫ মিনিট। গভীর রাতেও রাজধানীর বিজয় সরণিতে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য দিনে এই সময় অভিভাবকের বকা খেয়ে ঘুমাতে যাওয়া ছেলেরাই এখন এলাকার রাত প্রহরী। কোনো গাড়ি সন্দেহজনক মনে হলেই চেক করছে তারা। আর এই ডিউটি চলবে ভোর পর্যন্ত।
নতুন প্রজন্মের আরেকটি দল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে করছে বাজার মনিটরিং। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে তাদের এই উদ্যোগ। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পণ্য পরিবহন, আড়ত, পাইকারি এবং খুরচা প্রতিটি পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, কৃষকের মাঠ থেকে খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দাম কয়েক গুন বেড়ে যাওয়া থামাতে রসিদ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
পুরো রাজধানী জুড়েই রাতভর দেখা যায় এমন চিত্র। অন্যদিকে, ডাকাতির খবরে সংঘবদ্ধ হয়ে পাহারায় বসেছে নতুন প্রজন্ম। রাজধানীর প্রায় সকল এলাকাতেই দলবদ্ধ হয়ে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন তারা। কোথাও কোথাও নিজেদের নিরাপত্তার এই দায়িত্ব যেন হয়ে উঠেছে মিলনমেলা।
তবে দল-মত নির্বিশেষে সকলের একটাই চাওয়া, দ্রুতই যেন দায়িত্ব নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেটে যাক সকল দুশ্চিন্তা, ভালো থাকুক প্রিয় ঢাকা, প্রিয় বাংলাদেশ।