মো. মোরসালিন ইসলাম,
দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড় প্রায় সময় দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। কোন ভাবেই যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফুলবাড়ীবাসী।
এসব বাঁস – অটোবাইক ওঠা-নামার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় নিমতলা মোড় থেকে যমুনা ব্রিজের মুখ পর্যন্ত সড়কেই যত্রতত্র ভাবে গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে। চালকরা যত্রতত্র ভাবে গাড়ী পার্কিং করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।
জরুরী প্রয়োজনে উপজেলার ৭ ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদরে আসলে শহর জুড়ে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ পথচারী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের নিমতলা থেকে পার্বতীপুর যাওয়া মহাসড়কে চৌধুরী সুপার মার্কেটর ও সাবেক মন্ত্রী মার্কেটর, যমুনা ব্রিজের সামনে যাতায়তের প্রধান সড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে অটোরিকশা, সিএনজি , বাঁসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
তাই প্রতিদিনেই এই ব্যস্ততম সড়কে সারিবদ্ধ ভাবে অটো-সিএনজি রাখার কারণে ফুলবাড়ীর প্রধান প্রধান শহরে যানজট এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। এই তীব্র যানজট থেকে মুক্ত করতে বৈষম্য ছাত্র সমাজ ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন সাধারণ পথচারীসহ সচেতন নাগরিকগণ।
নিমতলা মোড়ে থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কের উপরে দোকান দিয়েছে যানজট তৈরি হচ্ছে সাংবাদিক মুহাম্মদ আজগার আলী জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে সড়কের দুই ধারে সারিবদ্ধভাবে অটো-সিএনজি রাখার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় চালকরা সড়কে যাত্রী ওঠা নামা ও সড়কেই ছোট-বড় ট্রাক থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উঠা-নামার কারণে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। এই যানজটে ফুলবাড়ীবাসীর ভোগান্তি দীর্ঘ হচ্ছে।
সাধারণ মানুষজন যানজটের কারণে স্বাধীনভাবে সড়কে যাতায়ত করতে পাড়ছে না। এমনকি জরুরী প্রয়োজনে যখন রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স অথবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী কোথাও যান। তখন নিমতলা মোড়ের তীব্র যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তিনি আরও জানান, কি বলি যারা অটো অথবা সিএনজি চালান তারাতো গরীব মানুষ এবং অটো-সিএনজি চালিয়ে সংসার চালান।
তাদের কথা চিন্তা করে এবং ফুলবাড়ী শহরের যানজট মুক্ত করতে হলে অবশ্যই নিমতলা মোড় থেকে প্রধান তিন সড়কের আশে পাশে নিদিষ্ট স্ট্যান্ড করার দাবী জানান।
মুল সড়কের পাশে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ ও এরশাদুল হকসহ অনেকেই জানান, সড়কের দুই পাশে অটোবাইক ও রিসকা রাখার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা আসতে না পাড়ায় দোকানের বিক্রি কমেছে। ফুলবাড়ী শহর যানজট নিরসনের জন্য বৈষম্য ছাত্রসমাজসহ সকলকে সহযোগীতা কামনা করছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
পথচারী পরিমল চন্দ্র রায়, নুরনবী সরকার ও বিপুল মিয়া বেলাল জানান, নিমতলা ও ঊর্বশী হলের সামনে রাস্তার পাশ দিয়ে সব সময় র্দীঘ যানজট লেগেই থাকে। সাধারণ মানুষের চলাচল করাও বড় ঝুঁকি। তারপরেও শত ঝুঁকি নিয়েও চলতে হয়। আমরা একটা সুন্দর যানজট মুক্ত ফুলবাড়ী শহর চাই বলে তারা দাবী জানিয়েছেন। সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে অটোবাইক রাখার ব্যাপারে কয়েক জন অটোচালককে প্রশ্ন করলে তারা উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার নিরাপদ সড়ক চাইয়ের সভাপতি মো. লিমন হায়দার বলেন,ফুলবাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনার কমিয়ে আনতে বাইপাস সড়কের বিকল্প নেই ও যানজট নিরসনের বাইপাস সড়কের ভূমিকা রাখবে অবৈধ ফুটপাথ দখলে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে ও ফুটপাত দখলমুক্ত হলে সড়ক যানজট নিরসন কমিয়ে আসবে।