কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৫ আগস্ট, ২০২৪ (বস) : জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে সরব থাকায় উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরতে মুখিয়ে ছিল। তাদের জন্য আজ ভীষণ আনন্দের দিন। কেননা, আজ তাদের ক্লাস শুরু হয়েছে। এছাড়াও চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, টানা বন্ধ ও আন্দোলনের শেষে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকায় উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সড়কগুলোতে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। নির্ভয়ে যে যার কাজে বের হচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দোকানপাটে বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ব্যাগ কাঁধে শিক্ষার্থীরা ছুটছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সরবরাহ বাড়ায় কাঁচাবাজারে ফিরছে স্বস্তি। দলীয় বিশৃঙ্খলা না থাকায় নেই রাজনৈতিক অস্থিরতাও।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাজমুল হাসান বাসসকে বলেন, ছোট-ছোট আনন্দমাখা মুখগুলো প্রবেশ করতেই বিদ্যালয়গুলো যেন প্রাণ ফিরে পায়। দীর্ঘ বিরতির পর বন্ধু এবং শিক্ষকদের কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দিত, তেমনি আনন্দিত শিক্ষকরাও।
স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এতে সাধারণ মানুষ এক ভীতিকর পরিস্থিতি পড়ে। তবে বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলায় অবস্থান নিলে ও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করায় উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার ভরসা ফিরে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তবু সারাদেশের সহিংসতার ঘটনার খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গত কয়েকদিনে আমরা উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সবাই এখন যার যার কাজে যোগ দিয়েছেন। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।