পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। আন্দোলনের কারণে সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। এটাকে আন্দোলনকারীদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে পাকিস্তানে ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা। তিনি জানিয়েছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই ইন্টারনেটের গতি কমেছে। গত ১৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই বক্তব্য দেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কন্টেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম পরীক্ষার কারণে ইন্টারনেটের গতি কমেছে।
ফাতিমা খাজা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ ব্লক করার পর ব্যবহারকারীরা ভিপিএনের মাধ্যমে সেই অ্যাপগুলোর সেবা নেওয়ার চেষ্টা করেন, যা ইন্টারনেটের গতিকে প্রভাবিত করে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভিপিএন ব্যবহার শুধুমাত্র কিছু স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর সংযোগকে প্রভাবিত করতে পারে, যা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সমস্যার জন্য যথেষ্ট নয়।