বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ’র সই জাল করা হয়েছে এমন অভিযোগ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আমাদের কোনো সিস্টেম-বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্ক নেই।
আজ (বৃহস্পতিবার) দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার মিথ্যা স্বাক্ষর ব্যবহার করে নোটিশ পাঠানো এবং সাধারণ জনগণকে হয়রানির অভিযোগ আসছে। এমনকি, স্কলারশিপে জাপানগামী একজন ব্যক্তিকে আমার স্বাক্ষর ব্যবহার করে ইমিগ্রেশনে আটকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মানুষের কাছ থেকে এমন কার্যকলাপ হতাশাজনক।
স্বাক্ষর জালিয়াতি বাংলাদেশের আইনে একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করে কেউ এমন প্রতারণা করলে দেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আমাদের গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটের পরিপন্থি হওয়ায় তদবির, মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও চাঁদাবাজি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আমাদের কোনো সিস্টেম-বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট (রোববার) সচিবালয়ে আনসারদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে আহত হন হাসনাত আব্দুল্লাহ। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখনো পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালেই আছেন তিনি।