নিজাম হাজারী ও ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা

অপরাধ

ইলিয়াছ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি :

 ফেনী-২ আসনের  সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন’র বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলায় নিজাম হাজারী ছাড়াও প্রাক্তন এসপি জাহাঙ্গীর সরকারসহ  ৬ পুলিশ কর্মকর্তা এবং আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৮ জনকে আসামি করা হয়।

১৮ নভেম্বর, সোমবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো. শাফায়াত’র আদালতে এ মামলার  আবেদন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঞা।

 জানা গেছে, অস্ত্র ও ডাকাতির মামলায় নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কম সাজা খেটে জালিয়াতির মাধ্যমে জেল থেকে বের হওয়ার ঘটনায় সংবাদ হয়  গণমাধ্যমে। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন ফেনী পৌরসভার দু’বারের সাবেক কাউন্সিলর ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ভুঞা। মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

এতে নিজাম হাজারী ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ পুলিশের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শাখাওয়াতের বাড়িতে আক্রমণ ও প্রায় বিশ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট শেষে তাকে মর্মান্তিকভাবে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

একই দিন গভীর রাতে শাখাওয়াতকে ফেনী সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে বাড়ি থেকে অপহরণ করে মহিপালে একটি টর্চার সেলে  আটক করে রাতভর নির্যাতন করা হয়।

সেদিন রাতে ফেনী থানা পুলিশ বাদীকে জখম অবস্থায় গ্রেফতার করেন। মধ্যরাতে তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে এএসপি আমিনুল ইসলাম বাদীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।

এ সময় এসআই নজরুল ইসলাম নির্যাতনের ভিডিও চিত্র নিজাম হাজারীকে দেখাতে থাকেন। এ সময় নিজাম হাজারী বাদীকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন।

 

বাদী শাখাওয়াত মামলার এজাহারে জানান, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা শেষে এএসপি আমিনুল ইসলাম ক্রসফায়ার থেকে বাঁচতে হলে তাকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন।

পরে তার পরিবারের লোকজন ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও পুলিশ তাকে বিএনপির করা গাড়ি পোড়ানোর মামলাসহ ৩টি মিথ্যা মামলায় আদালতে চালান করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন শিমুল জানান, বিচারক আবেদন গ্রহণ করে  বাদি ও আইনজীবীর বক্তব্য শুনেছেন। অভিযোগটি আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

 এ মামলায় অপর আসামিরা হলেন, প্রাক্তন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার, এএসপি (ডিএসবি) আমিনুল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার প্রাক্তন ওসি আবুল কালাম আজাদ, জেলা গোয়েন্দা শাখার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ খাঁন চৌধুরী, ফেনী থানার এসআই নজরুল ইসলাম, এসআই মাহবুবুর রহমান,  ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আবদল্লাহ, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেনশীল, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু, শরিফ উল্যাহ, রাশেদ হাজারী, ফেনী পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হক, মেহেদি হাসান, নয়ন মজুমদার, সাজেদুল ইসলাম, আবদুর রউপ, সুজন, রকিবুল হাসান,  কামরুজ্জামান,  উতা সুজন, রিমন, নাহিয়ান, সৈকত, রাজ্জাক, মঞ্জু, মোরশেদ ও সাব্বির।

 

()

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *