অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান শিক্ষক দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন। মূল্যায়ন পদ্ধতির দিক থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। যতদূর পারি আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতদূর পারি আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। তবে এমনভাবে এটা করা হবে, যাতে যেসব শিক্ষার্থী নতুন শিক্ষাক্রমে আছে তাদের কোনো অস্বস্তি না হয়। এ জন্য পরিমার্জন করা হবে।তিনি বলেন,
নতুন শিক্ষাক্রম থেকে পুরানো শিক্ষাক্রমে রূপান্তর জটিল কাজ। কারণ অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই নতুন বই পৌঁছে গেছে। আমরা যদি নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করি এবং পুরানো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাই, তাহলে নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সংযোগ রাখব। পুরো কাজটি পর্যায়ক্রমে করা হবে।২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। এ বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও চালু হয়েছে এ শিক্ষাক্রম। ২০২৭ সালে এটা দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হওয়ার কথা ছিল। এ বছর যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তাদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। নতুন শিক্ষাক্রমে শিখন ও মূল্যায়নে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু এ শিক্ষাক্রম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক আছে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন এই শিক্ষাক্রমের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।