দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে ৬ জন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় টাইমস অব ইসরাইল।
আইডিএফের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর হামাসের অপহরণের শিকার ৬ ইসরাইলি জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনকে জীবিত বলে মনে করা হয়েছিল। সোমবার রাতে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে চালানো অভিযানে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আলেকজান্ডার ড্যান্সিগ (৭৫), ইয়াগেভ বুচশতাভ (৩৫), চেইম পেরি (৭৯), ইওরাম মেটজগার (৮০), নাদাভ পপলওয়েল (৫১) এবং আব্রাহাম মুন্ডার (৭৮)। ইতোমধ্যেই তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
জিম্মি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করা হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম নামের একটি সংগঠন খবরটি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম এক বিবৃতিতে জানায়, বাকী ১০৯ জিম্মিকে অবিলম্বে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা করতে হবে। মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় ইসরাইলি সরকারকে খুব দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসা উচিত।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিহত ৬ জনের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জিম্মিদের পুনরুদ্ধারের জন্য পরিচালিত নির্ধারিত অপারেশনের জন্য সামরিক ও সিনবেতের সৈন্য ও কমান্ডারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্র আমাদের সমস্ত জিম্মি- জীবিত কিংবা মৃত- সবাকেই ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
অন্যদিক সেনাবাহিনীর এই ‘সাহসী এবং বিপজ্জনক’ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, পদক্ষেপটি গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যে ‘অভিযানের স্বাধীনতা’ অর্জন করেছে, তার একটি প্রমাণ।
সেই সঙ্গে তিনি হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত এবং সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল