রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন করা হবে, তখনই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত। এ খবর পাওয়ার পরে সকাল থেকে রাজনৈতিক মামলায় আটক আসামিদের জামিনের আবেদন করেছেন আইনজীবী।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আদালতে জামিন আবেদনের পাশাপাশি জামিন হলে আসামিদের পক্ষে জামিননামা দাখিলের জন্য সমিতির নির্ধারিত জামিন নামা কিনতে প্রত্যেকটি বুথে বেইলবন্ড (জামিননামা) কেনার জন্য আইনজীবীদের লম্বা লাইন পড়ে গেছে।
বেইল বন্ড কিনতে বুথের সামনে লাইনে দাঁড়ানো আইনজীবী রুহুল আমীন বলেন, রাজনৈতিক নাশতার এক মামলায় তার এক আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন। আজকে জামিন শুনানি করবে। এজন্য আগে থেকে বেইল বন্ড কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
জামিন আবেদন হওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুলসহ প্রমুখ।
এ ছাড়া আন্দোলনকারী ছাত্র ও আন্দোলনের সময় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাধারণ মানুষেরও জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার নিম্ম আদালত প্রাঙ্গণে এখনও পর্যন্ত কোন পুলিশ-প্রসাশনকে দেখা যায়নি।